বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে ফেলা ঠিক হয়নি : রিজভীতাঁদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ প্রকাশ করা হলেও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক জামিন অযোগ্য মামলার আসামি হতেন। এ ধরনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৯৭ জন সাংবাদিককে কারাবাস করতে হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৪ জনের জামিনে মুক্তি মিললেও তিনজন এখনো কারাগারে।
আইজি প্রিজনস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, বর্তমানে ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনে ৪৬ জন এবং ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বন্দি রয়েছেন ৫০ জন, যার মধ্যে তিনজন সাংবাদিক।এক শিশুর ছবি নিয়ে অনলাইনে কার্ড প্রকাশ করার জেরে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই সময় বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সরকার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে।২০২৩ সালের ৭ আগস্ট ঘোষণা দেওয়া হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি (ডিএসএ) এখন থেকে সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) নামে নতুন একটি আইন দিয়ে প্রতিস্থাপিত হবে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে দায়ের করা মামলাগুলো অব্যাহত থাকবে। অভিযোগকারীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্তদের সংখ্যাই বেশি। আইনটি হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ২০২১ সালে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আইনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে।২০২৩ সালের ৫ জুন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের পর ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ আইনে সারা দেশে সাত হাজার একটি মামলা হয়েছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি একই বছরের ৮ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। এর তিন দিনের মাথায় ১১ অক্টোবর এই আইনের অধীনে প্রথম মামলা হয়।
এ সময় মন্ত্রীদের মানহানির জন্য দায়ের করা মামলার সংখ্যা ৮০। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী করেছে আটটি, মন্ত্রীরা করেছেন ছয়টি, মন্ত্রীদের সমর্থনকারীরা করেছেন অবশিষ্ট ৬৬টি মামলা। এসব মামলায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ৩৩৭, আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৮ জন। রাজনীতিবিদদের মানহানির দায়ে করা মামলার সংখ্যা ২১২। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী করেছে সাতটি, রাজনীতিবিদরা করেছেন ৯৩টি, রাজনীতিবিদদের সমর্থনকারীরা করেছেন অবশিষ্ট ১১২টি মামলা। এসব মামলায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ৭৩৯ আর গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩৬ জন।