টেকনাফ নিউজ ডেক্স : প্রতারণা ও স্ত্রী নির্যাতন মামলায় এতোদিন ছিলেন পলাতক। অবশেষে প্রতিষ্ঠান থেকে অসুস্থতার ছুটি নিয়ে আদালতে হাজির হয়ে কারাগারে যান কলেজ শিক্ষক বদরুল আলম (৩৫)। গতকাল রবিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায়। বদরুলের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পুরহরি গ্রামে। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের পুরহরি গ্রামের আব্দুল আলী ফকিরের ছেলে মো. বদরুল আলম বিয়ে করেন পাশের হোসেনপুর উপজেলার জিনারী গ্রামের এক মেয়েকে। বিয়ের পর থেকে তিনি যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করতে থাকেন। সংসার ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় স্ত্রী কয়েকবার যৌতুকের দাবি পূরণ করলেও নির্যাতন থামেনি।
এতে বিরক্ত হয়ে দুই মাস পর আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই মামলায় বদরুল একবার কারাগারে যান এবং প্রায় এক মাস পর জামিনে মুক্তি পান। পরে স্ত্রীকে বশে আনার কথা বলে গত ১১ আগস্ট ২০২২ কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল কলেজের পাশে একটি বাসায় ডেকে নিয়ে যান। সেখানে অস্ত্রের মুখে স্ত্রীকে তালাকনামায় স্বাক্ষর দেওয়ার চেষ্টা চালান।
এ ঘটনায় স্ত্রী পরদিন কিশোরগঞ্জ আদালতে অপহরণ ও প্রতারণার মামলা করেন। মামলাটি পিবিআই হয়ে শেষ পর্যন্ত ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।এই পরিস্থিতিতে রবিবার বদরুল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
মামলার বাদিনী ও বদরুলের স্ত্রী জানান, তিনি জেনেছেন যে, বদরুল তাকে বিয়ের আগে ও পরে আরও দুটি বিয়ে করেছেন এবং সেসব বিয়েতেও তিনি বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত।
বদরুল আলম প্রতিষ্ঠানে আছেন কিনা জানতে চাইলে, সোমবার দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুল আলম বলেন, ওই শিক্ষক রবিবার থেকে ১০ দিনের মেডিকেল ছুটি নিয়েছেন। তবে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে কি না, এ বিষয়ে অধ্যক্ষ অবগত নন।