নুর মোহাম্মদ, সেন্টমার্টিন প্রতিনিধি : বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপে প্রায় ১০ হাজার লোকের জনবসতি। সকলেরই আয়ের উৎস পর্যটন ব্যবসা। গেল প্রায় নয় মাস ধরে পর্যটন ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। এই দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার লোক ৪/৫ মাস পর্যটন ব্যবসা করে আয় রোজগার করে এবং বাকী ৭/৮ মাস বেকার জীবন কাটায়। এমতাবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসীর উপর মরার উপর খাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা রিজুওয়ানা হাসান। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে নভেম্বর মাসে পর্যটক যেতে পারবে তবে রাত্রিযাপন করতে পারবেনা। আবার ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে যেতে পারবে এবং রাত্রিযাপন করতে পারবে তবে শুধু মাত্র ২০০০ হাজার পর্যটক। ফেব্রয়ারী মাসে দ্বীপে সম্পুর্ন পর্যটক যাওয়া নিষেধ। এ ধরণের সিদ্ধান্ত যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে সেন্টমার্টিনের ১০ হাজার লোকসহ দেশের প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ কর্ম হারাবে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিনের ১০ হাজার লোক বেকার হয়ে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায় লিপ্ত হয়ে পড়বে বলে ধারনা করেছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা। সেন্টমার্টিনের ১০ হাজার লোক একসময় ফিশিং করত এবং শামুক, ঝিনুক প্রবাল বিক্রি করতো। তারা নিজের ছেলে মেয়েদের একটু ডেভলাপ করার জন্য এবং উচ্চ লেখাপড়া করার জন্য ঐ ব্যবসা ছেড়ে বর্তমানে সবাই পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত। অনেকে নিজের ভিটা বাড়ি বিক্রি করে স্বর্ণ অলংকার বিক্রি করে করে দু’চারটা রুম বানিয়েছে যার যার সাধ্য মতো। এসময়ে এসে অসহায় লোক গুলির দিকে তাকিয়ে পরিবেশের সিদ্ধান্ত পূর্ণ বিবেচনা করে সেন্টমার্টিনকে আগের মত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দ্বীপের সর্বস্থরের জনসাধারণ ও সচেতন মহল এবং ব্যবসায়ীরা।