প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। গত ৫ নভেম্বর একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয় দেশটি। এর দুইদিন পর আয়ারল্যান্ডের আইনপ্রণেতারা সংসদে একটি প্রস্তাব পাস করেছেন, যেখানে স্বীকার করা হয়েছে- ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলায় নিজেদের সম্পৃক্ত করবে।আইরিশ আইনপ্রণেতারা দাবি করেছেন, তাদের সরকার অবিলম্বে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম এবং অস্ত্রের ক্ষেত্রে সমস্ত লেনদেন স্থগিত করবে।
এছাড়া তেল আবিবে অস্ত্র বহনকারী বিমানের জন্য আকাশসীমা এবং আয়ারল্যান্ডের বিমানবন্দর ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা উচিত বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে আয়ারল্যান্ড জানিয়েছিল, তারা গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর নিয়ে ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়েছে।
এরপর সেপ্টেম্বর মাসেই আয়ারল্যান্ড ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। আয়ারল্যান্ডের এসব পদক্ষেপ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামোর বাইরে। দেশটি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের নির্মম হামলার সবচেয়ে স্পষ্টবাদী সমালোচকদের মধ্যে অন্যতম।
তথ্যসূত্র: ডেইলি সাবাহ