টেকনাফেই ধরেছে চায়না-৩ জাতের লিচু

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :> টেকনাফে রাজশাহীর লিচু নামে খ্যাত চায়না-৩ জাতের লিচু বিক্রির ধুম পড়েছে। টেকনাফের পাহাড় বেষ্টিত বিভিন্ন গ্রাম গুলোতে ফলনও হয়েছে ভালো। সাইজে ছোট হলেও আশাতীত দাম পাওয়ায় খুশিতে উৎফুল্ল লিচু বাগান মালিকেরা। টেকনাফের হোয়াইক্যং আমতলী, বালুখালী, কানজরপাড়া, মিনাবাজার, নয়াপাড়া, বাহারছড়া মারিশবনিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রচুর পরিমানে ধরেছে এই জাতের লিচু। তবে পুরোপুরি পাকার আগেই অনেক গাছেই লিচু ফেটে যাচ্ছে।
হোয়াইক্যং আমতলীর কৃষক পুলক চাকমা ও বালুখালীর কৃষক আব্দুুল মন্নান জানান, এ বছর চায়না-৩ লিচুর উৎপাদন এবং দাম চোখে পড়ার মত। ১০০টি লিচুর দাম হাকা হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকা। প্রত্যেক গাছেই ধরেছে প্রায় ৬ থেকে ৮ হাজার লিচু। গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় এই জাতের লিচুর চাষ হয়েছে।
আম, লিচুসহ উন্নত জাতের গ্রাফটিং চারা বিক্রেতা দৌলতপুরের ইদবার আলী বলেন, হোয়াইক্যং এলাকায় কম দামে চারা বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। এই এলাকার মাটি লিচু চাষের উপযোগী। গত কয়েক বছরে হোয়াইক্যংয়ে যে পরিমান লিচুর চারা বিক্রি করেছি চারাগুলো বেঁচে থাকলে দুয়েক বছরের মধ্যে এই এলাকার লিচু সব জায়গায় বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
টেকনাফ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সরুওয়ার কাদের বলেন, লিচু ফেটে যাওয়া একটি রোগ। এ বিষয়ে আমরা সকল ফল উৎপাদনকারী কৃষককে মাইক্রো নিউট্রিসিয়ান ব্যবহার বিষয়ে সতর্ক করেছি। তাদেরকে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ##