লেদা ইবনে আব্বাস মাদ্রাসা বোর্ড পরিক্ষায় এবারও সেরা, সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে ৩০ জন

 

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :> টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ইবনে আব্বাস (রা.) আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা বোর্ড পরিক্ষায় এবারও চমক সৃষ্টি করে সফলতার ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখেছে। মাদ্রাসাটি ২০০৩ ইংরেজীতে প্রতিষ্টা লাভ করে প্রতিষ্টাতা পরিচালক আলহাজ্ব মাও. ক্বারী শাকের আহমদের অক্লান্ত পরিশ্রম, কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারীদের আন্তরিকতায় অত্যন্ত সুনামের সহিত লেখাপড়া চালিয়ে আসছে। এ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বোর্ড, সনদ, কেন্দ্রীয় ও প্রতিযোগিতামুলক বিভিন্ন পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করে অসাধারণ মেধার পরিচয় দিয়ে আসছে। রাবেতা বোর্ড এবারে জমাতে হাপ্তমে ৩৫ জনকে এবং জমাতে নাহুমে ৬৪ জনকে সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান দিয়েছে। জমাতে হাপ্তমের ৩৫ জনের মধ্যে প্রথমসহ ১১ জন এবং জমাতে নাহুমের ৬৪ জনের মধ্যে প্রথমসহ ১৯ জনই লেদা ইবনে আব্বাস (রা.) মাদ্রাসার ছাত্র। উক্ত দুই জমাতে মোট ৩০ জনই সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে।

Oplus_131104

রাবেতা বোর্ড
শা’বান মাসে অনুষ্টিত নাহুমের রাবেতাতুল মাদারিস কেন্দ্রীয় পরিক্ষায় এবারে দুই জমাতের ৫০৫ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে জমাতে হাপ্তুমের ১৮১ জন এবং জমাতে নহুমের ৩২৪ জন। পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট প্রতিষ্টানের সংখ্যা ৩১টি। তম্মধ্যে উভয় জমাতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্টান ১৮টি এবং শুধু নহুম জমাতে অংশগ্রহণকারী মাদ্রাসা ১৩টি।
জমাতে হাপ্তুমে বোর্ড সেরা সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী মো. আরিফসহ ১১ জনই লেদা ইবনে আব্বাস (রা.) আল-ইসলামিয়ার ছাত্র। এরা হলেন প্রথম মুহাম্মদ আরিফ, মো. হিজবুল্লাহ ৪র্থ, মো. ইসলাম ৫ম, শাহাব উদ্দিন ৬ষ্ট, নাছির উদ্দিন ৭ম, একরাম উল্লাহ ১০ম (ক), মো. হুবাইব ১১তম (ক), মো. আবদুল্লাহ ১৪তম, মো. রাশেদ ৫তম, মো. একরাম ২৩তম, সাদেক হোছাইন ২৪তম (খ)। জমাতে হাপ্তুমের দায়িত্বশীল শিক্ষক ছিলেন মাও. দিল মোহাম্মদ।
জমাতে নাহুমে বোর্ড সেরা সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ৬৪ জনের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারী মো. মাহিদুর রহমানসহ ১৯ জনই লেদা ইবনে আব্বাস (রা.) আল-ইসলামিয়ার ছাত্র। এরা হলেন মো. মাহিদুর রহমান প্রথম, মো. শোয়াইব ৪র্থ (খ), মোশাররফ হোছাইন ৫ম, মো. ইউশা ৬ষ্ট, মো. শাহেদ ৭ম, মো. ফাহাদ ১০ম, মো. আনাস ১১তম (ক), মো. ইউশা ১৩তম, মো. ফরিদ ১৪তম (ক), নুর তাহের ১৫তম, মো. মসউদ ১৭তম, জামাল উদ্দিন ২৩তম (খ), কামরুল ইসলাম ২৪তম (খ), জাহেদ উল্লাহ ২৬তম (গ), নুর খান ২৬তম (ঘ), মো. সুহাইল ২৭তম, আমিন মোস্তফা ২৯তম, এরশাদ হোছাইন ৩১তম (ক), আবদুল খালেক ৪০তম (খ)। উক্ত জমাতে নাহুমের দায়িত্বশীল শিক্ষক ছিলেন মাও. মুফতী মো. ইসমাইল। বিগত কয়েক বছর ধরে অনুষ্টিত হয়ে আসছে এ পরিক্ষা। প্রতিযোগিতামুলক এ পরিক্ষার জন্য ক্বওমী মাদ্রাসা সমুহে শিক্ষার্থীদের মাঝে আলাদা একটা আকর্ষন পরিলক্ষিত হয়। লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধিসহ দক্ষতা অর্জনে এ পরিক্ষা সহায়ক ভুমিকা পালন করছে।
লেদা ইবনে আব্বাস (রা.) আল-ইসলামিয়ার তত্বাবধানে পরিচালিত ‘হালিমাতুস সা’দিয়া (রা.) বালিকা মাদ্রাসা প্রতিষ্টার পর বালিকা হিফজখানাও চালু করা হয়েছে। বালিকা শাখায় শ্রেনীও বৃদ্ধি করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্ঠনী ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত আবাসিক এই বালিকা হিফজখানার সেমিপাকা ভবন, শিক্ষিকা-ছাত্রীর আবাসন, টয়লেট, অজুখানা নির্মাণ ও মহিলা শিক্ষিকা-হাফেজা শিক্ষিকা দিয়ে লেখাপড়া চলছে। রমজানের পর ক্বওমী শিক্ষা বছরের জন্য পুরোদমে ভর্তি শুরু হবে। প্রতিষ্টাতা পরিচালক আলহাজ্ব মাও. ক্বারী শাকের আহমদের এই ব্যয়বহুল মহতী ও সাহসী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে এলাকাবাসী দ্বীনি স্বার্থে মাদ্রাসার উন্নয়নে দানশীল দেশী-বিদেশী শুভাকাংখীদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন। ##