বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বিজিবি এসব জেলেকে টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরি পাড়া সংলগ্ন মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাটে ফিরিয়ে আনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে সীমান্তে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আর মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া অধিকাংশ এলাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে। এতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির তৎপরতা থাকায় নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এসব জেলেদের আরাকান আর্মির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে হেফাজতে রাখে। নাফ নদী থেকে বিভিন্ন সময়ে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ফেরত আনতে বিজিবি আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ করে তৎপরতা শুরু করে। পরে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজিবি ২৯ জেলেকে ফেরতে আনতে সক্ষম হয়েছে। সন্ধ্যায় টেকনাফ পৌরসভার জেটি ঘাটে এসব জেলেদের ফেরত আনা হয়। তাদের সাথে কথাবার্তা বলে, রাত ৮টার দিকে জেলেদের তাদের স্বজনদের কাছে কাছে ফেরত দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৪টি ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে আটক করা হয়েছিল। এর আগে, ১০ ফেব্রুয়ারি ২টি ট্রলারসহ ৪ জন এবং গত বছরের ১৬ নভেম্বর ৬ জন জেলে আরাকান আর্মির হাতে আটক হন।