টেকনাফে শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীতে মাদক বহনকারি ট্রলারকে ধাওয়া দেওয়ার সময় ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় জব্দ করা ট্রলার থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ইয়াবাসহ ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবদলের এক নেতাকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
মৃত্যু হওয়া আব্দুস শফি (৪৫) টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গরপাড়ার মৃত ছৈয়দ হোসেনের ছেলে। আটক হেলাল উদ্দিন টেকনাফের একই ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিম পাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে। তিনি সাবরাং ইউনিয়ন সাংগঠনিক কমিটির ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এবং জব্দ করা ট্রলারটির মালিক।
এই তথ্য নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ডের শাহপরীরদ্বীপ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ সাজ্জাদ। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
লেফটেন্যান্ট সাজ্জাদ বলেন, শনিবার সকালে নাফ নদীর শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় দিয়ে ট্রলার যোগে মিয়ানমার থেকে মাদক বড় একটি চালান পাচারের খবরে কোস্টগার্ডের একটি দল অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে নাফ নদীর জলসীমার শূণ্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমার দিক থেকে আসা সন্দেহজনক একটি ট্রলার দেখতে পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা থামার জন্য নির্দেশ দেন। এতে কোস্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা ট্রলারটি দ্রুত চালিয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ট্রলারে থাকা এক ব্যক্তি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারটিকে জব্দ করতে সক্ষম হয়। এসময় ট্রলারটি তল্লাশী চালিয়ে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে ট্রলার মালিককে হেলাল উদ্দিনকে আটক করা হয়।
অভিযানকালে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টাকারি ব্যক্তিকে কোস্টগার্ড সদস্যরা মুর্মূষাবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নওশাদ আলম কানন বলেন, দুপুরের দিকে কোস্টগার্ড সদস্যরা ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া না গেলে প্রাথমিকভাবে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।