হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ : সমতা, ন্যায্যতা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় দীপ্ত প্রতিষ্ঠান কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও ইউএনএইসসিআর এর সহযোগিতায় উখিয়া-টেকনাফের ৬০ জন ক্ষুদে নারী-পুরুষ ফুটবলারদের সাতদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও আঞ্চলিক টীম লিডার জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও ডকুমেন্টেশন অফিসার আরিফ উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক মুহাম্মদ আলী মেম্বার, ইউএনএইচসিআর-এর ক্রীড়া কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, ক্রীড়া সাংবাদিক ছৈয়দ আলম, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ বেলাল, টেকনাফ থানা পুলিশের প্রতিনিধি এসআই অনুপ, টেকনাফ উপজেলার সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সোহরাব হোসাইন, হ্নীলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন, দুবাইস্থ টেকনাফ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহ জাহান, টেকনাফ প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি আশেক উল্লাহ ফারুকী, পৌর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তারেক আহমদ সাগর ও জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর আলম। উক্ত অনুষ্ঠানে ৬০ জন কিশোর-কিশোরী ফুটবলারকে প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ করা হয়।
সনদ পেয়ে শিক্ষার্থী উম্মে সালমা, সুবিলা চাকমা, রাবেয়া সোলতানা, রুমিও চাকমা বলেন, ‘সাতদিনের প্রশিক্ষনে ফুটবলের যে ১৭টি আইন রয়েছে সবকিছু শেখা হয়েছে। এই প্রশিক্ষন আমাদেরকে আর পিছিয়ে রাখবেনা। এখন থেকে টেকনাফ উপজেলা নারী ফুটবল দল সহজে গঠন করা যাবে। অনুষ্ঠানে ক্রীড়া শিক্ষক ও কোচ-সহকারী কোচ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘ক্রীড়া, পর্যটন ও শিক্ষার অগ্রগতি হবে সীমান্তের একমাত্র সমাধান। টেকনাফের দুর্নাম দুর করতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে যে কোন ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আগামী জানুয়ারীর ভেতর সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় পুরো উপজেলাকে নিয়ে একটা রোডম্যাপ তৈরী করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ইতিমধ্যে উপজেলায় স্থায়ী খেলার মাঠ নির্ধারন ও গ্যালারী স্থাপন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মাদকমুক্ত টেকনাফ উপজেলা উপহার দিতে খেলাধুলা আর শিক্ষার বিকল্প নেই। জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হলে সমবন্টনের সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব’। ##