- এক চরমপন্থী নেতাকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০০৩ সালে। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় খুলনার তখনকার এসপিকে। শুরুতে তিনি রাজি না হলেও পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে বাধ্য হন। তবে ক্রসফায়ার করতে কোনও পুলিশ সদস্যকে রাজি করানো যাচ্ছিল না।শেষে একজন কনস্টেবল রাজি হলে তাকেসহ চরমপন্থী নেতা ও এসপিকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি নির্জন স্থানে। সেখানে চরমপন্থী নেতাকে গুলি করার আগমুহূর্তে কনস্টেবল ফের বেঁকে বসেন। তখন এসপি তাকে আবারও বুঝিয়ে রাজি করালে তিনি বলেন, ‘আমি গুলি করছি, কিন্তু সব দায়দায়িত্ব আপনার। ’ এসপি দায় নিতে রাজি হলে কনস্টেবল বন্দুকের ট্রিগার চাপেন।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে ‘ক্রসফায়ার’, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’র নামে এক হাজার ৯২৬ জন মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। আর পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে এক হাজার ১০১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে কক্সবাজার জেলায়। এ সময়ে শুধু ওই জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে ২০৬ জন। কক্সবাজার জেলা ছাড়াও এ তালিকায় ওপরের দিকে থাকা অন্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, খুলনা ও যশোর। সারা দেশে বন্দুকযুদ্ধে মোট নিহতের ৬০ শতাংশ নিহত হয়েছে এ কয়েকটি জেলায়।