সড়ক নিরাপত্তা আইন এখন সময়ের দাবি

messenger sharing button
facebook sharing button
whatsapp sharing button
copy sharing button
sharethis sharing buttonসড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি বিশ্বব্যাপী একটি অন্যতম প্রধান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও জনস্বাস্থ্যগত সমস্যা। তাই নিরাপদ সড়কের দাবি যেমন দিন দিন জোরালো হচ্ছে, তেমনি এ লক্ষ্য অর্জনে নিরাপদ সড়ক গড়তে একটি ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে রোডক্র্যাশে নিহতদের স্মরণে ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ দিবস উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বলনে একথা বলেন তারা।

রোডক্র্যাশে নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ দিবস পালন উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ পার্শ্বে অর্ধশত তরুণের অংশগ্রহণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাসহ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের কর্মকর্তাগণ, রোড সেইফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের সদস্য সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। এসময় একটি ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’র এর দাবি জানান তারা।

উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ মূলত মোটরযান আইন। যেখানে মোটরযানের ফিটনেস, লাইসেন্স, রুট পারমিট ও আইন ভঙ্গের জরিমানাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এই আইনে সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি অনুপুস্থিত। অন্যদিকে এই আইন প্রয়োগ করেও পাওয়া যাচ্ছেনা আশানুরূপ ফল। এসডিজি লক্ষ অর্জন এবং গ্লোবাল ডিকেড অফ এ্যাকশন ফর রোডক্র্যাশ অর্জনে প্রয়োজন একটি আলাদা সড়ক নিরাপত্তা আইন। যে আইনটি জাতিসংঘ ঘোষিত সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। তাই আজকের এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রোডক্র্যাশ ও আহত-নিহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে একটি কার্যকর “সড়ক নিরাপত্তা আইন” এর দাবি জানান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন